Posts

SONAJHURIR GRAME AR EKTI DIN

Image
সোনাঝুরির গ্রামে আর একটি দিন মহর্ষি দেবেন্দ্র নাথ ঠাকুর প্রতিষ্টা করে ছিলেন শান্তিনিকেতন আগে যেটি ভুবন ডাঙ্গা নামে পরিচিত ছিল। তিনি 1863 সালে এখানে একটি উপাসনা গৃহ স্থাপন করেন। যেখানে সকল ধর্মের মানুষ উপাসনা করতে পারতো। বর্তমান সময়ে ও ব্রহ্মসমাজ যে গৃহ টি রয়েছে সেখানে নারী পুরুষ সকলে উপাসনায় যোগদান করতে পারেন শুধুমাত্র সাদা পোশাকে। পরবর্তী কালে রবীন্দ্রনাথ 1913 সালে নোবেল পুরস্কার পান। তারপর 1923 সালে শান্তিনিকেতন পাঠ্য ভবনটি বিশ্ব বিদ্যালয় এ রূপান্তরিত করেন। ধীরে ধীরে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ও দৈনন্দিন প্রয়োজনে নানা ধরনের শিক্ষা ব্যবস্তা চালু করেন তিনি। এখানে খোলা আকাশের নিচে শিক্ষাদান চলে। প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। নানারকম শাস্ত্র চর্চা দেশ বিদেশের জ্ঞানী গুণী শিক্ষক দের সংস্পর্শে ছাত্রগন বিবিধ জ্ঞানের অধিকারী হয়ে ওঠে। নৃত্য কলা ও কারিগরি শিক্ষার ও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। 1951 সালে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে চলে যায়। বিদেশ থেকে ও ছাত্র ও উপাচার্য গন শিক্ষা গ্রহন ও শিক্ষাদান করতে পারেন। এখানে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সারা বছর লেগে রয়েছে। বিশেষ করে বাঙ

ETHIOPIAR SAMAPIKA

Image
ইথিওপিয়ার সমপিকা মেসোপটেমিয়া তখন ও জীবন্ত, পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন কবিতার সাক্ষী হয়ে বেঁচে রয়েছে। অবিশ্রান্ত সে চলমানতা, থেমে থাকার বিলাসিতা কে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। বেঁচে থাকার আর এক নাম চলমানতা সারাক্ষন সম্মুখে ধাবিত হওয়ায় যার একমাত্র লক্ষ্য ধীরস্থির শান্ত শিবিরের কুহক নাই বা শুনলি। মেসোপটেমিয়া তবে কি আজও জীবন্ত ? ইথিওপিয়ার ধূসরতা কি আজও তাকে মনে রেখেছে? ধূলিমানতায় আজ অদৃশ্য হয়ে চলেছে শরীর মন। এ এক অন্য আমি, এ এক অন্য কবিতা...... আজ চিনতে কষ্ট হচ্ছে নিজের সৃষ্টি কে যেন। হন্যমান শরীরের ক্লান্তি আজ অচেনা আমার কাছে। তোকে না বলতে পারা অনেক কথা কুরে কুরে খাচ্ছে যেন, মেসোপটেমিয়ার মৃতস্তূপ থেকে কথা বলে উঠবে। ধেয়ে চলেছে অবিশ্রান্ত রক্ত যেন,ধমনী আজ বড়ো ক্লান্ত, এ আমি অন্য আমি বয়ে চলেছি...... ক্লান্ত নদীর বাঁক হয়ে সব কলঙ্ক কে পিছনে ফেলে। খুঁজে ফিরেছি এক পশলা বৃষ্টির আবেশ আর তৃষ্ণার্ত জীবনের অবসান। তুই যখন বলিস এতো তো ভালোবাসা দিই তোকে তাও এত কিসের দুঃখ তোর,কোনো উত্তর দিতে পারিনা অন্য আমি আবার একবার কেঁদে ফেলে, বেশ তো ছিলাম স্নিগ্ধ শান্ত নদীর মতোন। তবে এ কিসের আহাট ব্যাকু

TILAKMANJURI

Image
তিলকমঞ্জরী আজ আর একবার খুব ইচ্ছা করছে সব ভুলে তেপান্তরের পথের ধুলায় মিশে যেতে আজ আবার মন ভেসেছে অজানাকে জানতে জীবন স্রোতে গা ভাসাতে..... তিলকমঞ্জরী আজ আমার সাথে তবে ভয় কি..? না হয় আর একবার জেনে বুঝে ভুল করলাম না হয় সব ভুলে পথ হারালাম..... ভয় কি তুই তো আছিস। ঠিক সামলে নিবি আমায় আমি জানি! যেভাবে নিয়েছিস প্রতিবারই, বাচ্চা মেয়ের মতন অভিমান কথায় কথায়..... বাঁধ ভাঙা সে অভিমান পাহাড় সম সামনে এলে, হয়তো সুনামি আসবে..….. হয়তো ভেসে যাবে সব জলের তোড়ে কোথা থেকে কোথায়, অভিযোগ অভিমান এর পাহাড় আছড়ে পড়বে এক এক করে, কোনো বাঁধা না মেনে। তবে ভয় কি ? হ্যাঁ ভয়ই বটে, পাছে ভালোবেসে ফেলি পাছে নিঃস্ব হয়ে পড়ি সব হারিয়ে .... সেই ভয়ে দূরে থাকি,  হারতে শিখিনি আমি... শুধু চাই তোমাকে হারাতে আমার প্রেমে শুধু চাই তোমাকে ভাসাতে এ অভিমানের জোয়ারে। জানি না সুনামি আসবে কিনা.... জানিনা তুমি ভাসবে কিনা.... তবে ভয় কি ? তিলকমঞ্জুরী আজ আমার সাথে....... ধন্যবাদ। ভালো থাকুন ভালো রাখুন, শুভরাত্রি।

KANCHER CHURI

Image
কাঁচের চুড়ি স্বর্ণালী যাস না, দাঁড়া একটু আমি আসছি দীপ বললো।স্বর্ণালী কথা শোনে না দৌঁড়ে চলে সম্মুখে। সে শুনতে পাচ্ছে না আজ কিছু। তবুও দীপ পিছনে পিছনে দৌঁড়াতে থাকে।ছোট্ট স্বর্ণালী দশ বছরের আর দীপ এগারো। দুজনে খুব ভাব, একে অপরকে ছাড়া বাঁচে না। ওরা বন্ধু আবার অনেক দূর সম্পর্কের আত্মীয় ও বটে। ছোট থেকে পুজোর ছুটি, গরমের ছুটি পড়লে সব খুব হই হই করে মামা বাড়ি বেড়াতে যেতো।ওদের দুজনের ই ছোট ছোট দুটি ভাই অর্ঘ আর জয়, মামা বাড়িতে মামা আর মাসির মেয়েরা,রিনি, রাখি আর তমালি উফ দারুন একটা টিম, মজার টিম। তারা ওই ছুটির কদিন যা খুশি করতে পারতো, পুরো পুরী স্বাধীনতার স্বাদ। হ্যাঁ সত্যিই তাই কোনো বাঁধা নেই, নেই কোনো বারণ। একদম মামা বাড়ির আবদার। মামা, মামী দিদা দাদু সবার কাছে আদর । বিশেষ করে পুজোর সময় গুলোতে প্রচুর টাকা জমা হয়, যা খুশি কেনা, আর যা খুশি খাওয়া আর খুব আনন্দ করা। সব মিলে দারুন মজা, সব মিলে সম বয়সী প্রায় সাত আট জন এক সাথে হলে তারা কি না পারে…. যথারীতি এখানে ও তার ব্যাতিক্রম হলো না। বছরে দুবার স্বর্ণালীরা একদম অপেক্ষা করে থাকতো। একসঙ্গে ঘোরা, একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়া, এক

Women's Day

Image
নারী দিবস.... নারী দিবস একটি আন্তর্জাতিক উৎসব। হ্যাঁ তাই তো It's International Women's Day... Global Celebration. আমরা কি সত্যিই সন্মান করি এই দিনটিকে, নাকি শুধুমাত্র একটি লোক দেখানো মিথ্যা সহানুভূতি! নারী দিবসের উৎপত্তি কোথা থেকে ? সেই তো অপমান লাঞ্ছনা আর অবমাননার শুরু থেকে.. শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর কোনো খানে কোনো কালেই নারী, পুরুষের সমান মর্যাদা পাই নি...... সেই থেকেই তো এই লড়াই শুরু, 1908 এর 8ই মার্চ আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর প্রথম ডাক দিয়েছিল সকল নারী কে তার নিজের অধিকার বুঝে নিতে, জাতপাত ভুলে তারা পথে নেমেছিল সেদিন, নিজের নিজের অধিকার বুঝে নিতে, ছোটো ছোটো দাবি, ভোটার অধিকার, স্বাধীন ভাবে বাঁচার তাগিদ তাদের পথে এনেছিল, অধিকার এর জন্য লড়তে শিখিয়েছিল। নারী সেদিন ও লাঞ্ছিত অপমানিত, আজ একশো বছর পরেও তাই, ঘরে বাইরে প্রতি নিয়ত অত্যাচার এর স্বীকার। সে শুধু লড়ে চলেছে স্বাধীন ভাবে মাথা উঁচু করে সমাজে বাঁচার জন্য। তাই তো নারীর শিক্ষা আজ অনিবার্য হয়ে উঠেছে, আজ আমাদের দেশে বা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে নারী অত্যাচার ও খুনের শিকার। কেন জানো, কারন পুরুষ শাসিত সমাজ আজ ও

BASANTER MANJARIKA

Image
বসন্তের মঞ্জরিকা... বসন্তের ফাগুনের সাথে আমি খেলা করি আবার কখনো আবীর হয়ে তোমাকে রাঙাতে চাই। আমি দুর্বার আর আমি দৃড়বদ্ধ তোমায় পেতে.... তুমি ছুঁয়ে দিলে আমি সোনা হবো, হয়তো বা নতুন জীবন ফিরে পাবো....কি জানি ! ফাগুনের রঙ হয়ে তোমাকে ছুঁতে চাই.... বসন্তের কোকিল হয়ে তোমায় গান শোনাবো। আজ মাধুবনে ঘুরছে মৌমাছিরা মঞ্জরিকার আকর্ষণে পলাশের বনে আজ ফুল ফুটেছে আগুন রঙা.... ফাগুনের আগুনে আজ ডুবতে রাজি তুমি আমি । যদি পাই একটু দেখা, খুঁজে ফিরি মন কাননে কোকিল আজ গান ধরেছে গুনগুনিয়ে.... ফাগুনে রঙ লেগেছে ক্ষনে ক্ষনে, তোমার ঐ বাণী যে আজ আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি। হৃদয় গহন মন্দিরে যে তুমি ছাড়া নিঃস্ব আমি। মাধুবনে মৌমাছিরা খুঁজে ফেরে মঞ্জরিকার আকর্ষণে তোমার ঐ অভিমানী মন ছুঁয়েছি বারে বারে! যেখানে আমার বাসা রয়েছে গো চিরতরে। কোকিল আজ গান ধরেছে, ফাগুনে রঙ লেগেছে। হোলির এই উৎসবে আজ  রঙ লাগবো প্রাণ ভরে তোমাকে ছুঁয়ে যে আজ বেঁচে উঠবো চিরতরে। কামের এই উৎসবে আজ মন ছুঁয়ে যায় বারে বারে মন আমার স্বপ্নে ভাসে নতুন করে…... আবিরের গন্ধে আজ মাতোয়ারা তোমার প্রেমে। জীবনের রঙ যে তুমি, ভালোবাসো প্রাণ ভরে আজ।

Jibantak ekhn jibashma

Image
জীবন্তক এখন জীবাশ্ম.... বাহ দূরে আমগাছে কত মুকুল এসেছে..... ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েরা মাঠে খেলা করছে কিছু। আমি বসে ব্যালকনিতে, তাই তো.... আজ অনেকদিন বাদে আমি ব্যালকনি তে....কেন! তুমি বলবে কোথায় থাকো সারাদিন, কত ঘন্টা কেটে গিয়েছে কোথায় ছিলে এতক্ষন?  আমি ও সেটাই ভাবি ঘন্টা, দিন, সপ্তাহ, মাস শেষে বছর কেটে যায়......কোথায় থাকি আমি..! আমি জানি না, কখনো খুঁজি নি আমি নিজেকে, বলতে পারো খুঁজতে চাই নি জীবন্তক এর ইতিকথাকে..... জীবাশ্ম এর মত বেঁচে রয়েছি স্মৃতির কোটরে, পাষানপুরীর রানী হয়ে..... কখনো এখানে, কখনো সেখানে, নিরুদ্দেশে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে ঘুরেছি আমি পথে পথে...না আর নয় স্মৃতির কোটরে নিশ্বাস বন্ধ করে চিরতরে হারিয়ে যেতে চাই, ভয় পাই পাছে বাঁধা পড়ে না  যাই স্মৃতির অন্তরালে জীবন সকলকে কিছু না কিছু শিক্ষা দিয়ে যায় আমরা ক্ষত বিক্ষত হয়ে এগিয়ে চলেছি জীবন্তক এর খোঁজে  যেখানে পাষানপুরী আমার মূলমন্ত্র, জীবাশ্ম আমার পরিণতি। তবে কিসের আকাঙ্ক্ষায় মন বাধা পড়ে আছে, জীবাশ্ম এর জীবন অজানা আশঙ্কায়  যা তিলে তিলে নিঃশেষ করে চলেছে আমায়..... তবুও তো বলবো ভালো আছি, ভালো থেকো..... শিখিনি আমি হেরে যে