Posts

Showing posts from March, 2018

ETHIOPIAR SAMAPIKA

Image
ইথিওপিয়ার সমপিকা মেসোপটেমিয়া তখন ও জীবন্ত, পৃথিবীর সব থেকে প্রাচীন কবিতার সাক্ষী হয়ে বেঁচে রয়েছে। অবিশ্রান্ত সে চলমানতা, থেমে থাকার বিলাসিতা কে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। বেঁচে থাকার আর এক নাম চলমানতা সারাক্ষন সম্মুখে ধাবিত হওয়ায় যার একমাত্র লক্ষ্য ধীরস্থির শান্ত শিবিরের কুহক নাই বা শুনলি। মেসোপটেমিয়া তবে কি আজও জীবন্ত ? ইথিওপিয়ার ধূসরতা কি আজও তাকে মনে রেখেছে? ধূলিমানতায় আজ অদৃশ্য হয়ে চলেছে শরীর মন। এ এক অন্য আমি, এ এক অন্য কবিতা...... আজ চিনতে কষ্ট হচ্ছে নিজের সৃষ্টি কে যেন। হন্যমান শরীরের ক্লান্তি আজ অচেনা আমার কাছে। তোকে না বলতে পারা অনেক কথা কুরে কুরে খাচ্ছে যেন, মেসোপটেমিয়ার মৃতস্তূপ থেকে কথা বলে উঠবে। ধেয়ে চলেছে অবিশ্রান্ত রক্ত যেন,ধমনী আজ বড়ো ক্লান্ত, এ আমি অন্য আমি বয়ে চলেছি...... ক্লান্ত নদীর বাঁক হয়ে সব কলঙ্ক কে পিছনে ফেলে। খুঁজে ফিরেছি এক পশলা বৃষ্টির আবেশ আর তৃষ্ণার্ত জীবনের অবসান। তুই যখন বলিস এতো তো ভালোবাসা দিই তোকে তাও এত কিসের দুঃখ তোর,কোনো উত্তর দিতে পারিনা অন্য আমি আবার একবার কেঁদে ফেলে, বেশ তো ছিলাম স্নিগ্ধ শান্ত নদীর মতোন। তবে এ কিসের আহাট ব্যাকু

TILAKMANJURI

Image
তিলকমঞ্জরী আজ আর একবার খুব ইচ্ছা করছে সব ভুলে তেপান্তরের পথের ধুলায় মিশে যেতে আজ আবার মন ভেসেছে অজানাকে জানতে জীবন স্রোতে গা ভাসাতে..... তিলকমঞ্জরী আজ আমার সাথে তবে ভয় কি..? না হয় আর একবার জেনে বুঝে ভুল করলাম না হয় সব ভুলে পথ হারালাম..... ভয় কি তুই তো আছিস। ঠিক সামলে নিবি আমায় আমি জানি! যেভাবে নিয়েছিস প্রতিবারই, বাচ্চা মেয়ের মতন অভিমান কথায় কথায়..... বাঁধ ভাঙা সে অভিমান পাহাড় সম সামনে এলে, হয়তো সুনামি আসবে..….. হয়তো ভেসে যাবে সব জলের তোড়ে কোথা থেকে কোথায়, অভিযোগ অভিমান এর পাহাড় আছড়ে পড়বে এক এক করে, কোনো বাঁধা না মেনে। তবে ভয় কি ? হ্যাঁ ভয়ই বটে, পাছে ভালোবেসে ফেলি পাছে নিঃস্ব হয়ে পড়ি সব হারিয়ে .... সেই ভয়ে দূরে থাকি,  হারতে শিখিনি আমি... শুধু চাই তোমাকে হারাতে আমার প্রেমে শুধু চাই তোমাকে ভাসাতে এ অভিমানের জোয়ারে। জানি না সুনামি আসবে কিনা.... জানিনা তুমি ভাসবে কিনা.... তবে ভয় কি ? তিলকমঞ্জুরী আজ আমার সাথে....... ধন্যবাদ। ভালো থাকুন ভালো রাখুন, শুভরাত্রি।

KANCHER CHURI

Image
কাঁচের চুড়ি স্বর্ণালী যাস না, দাঁড়া একটু আমি আসছি দীপ বললো।স্বর্ণালী কথা শোনে না দৌঁড়ে চলে সম্মুখে। সে শুনতে পাচ্ছে না আজ কিছু। তবুও দীপ পিছনে পিছনে দৌঁড়াতে থাকে।ছোট্ট স্বর্ণালী দশ বছরের আর দীপ এগারো। দুজনে খুব ভাব, একে অপরকে ছাড়া বাঁচে না। ওরা বন্ধু আবার অনেক দূর সম্পর্কের আত্মীয় ও বটে। ছোট থেকে পুজোর ছুটি, গরমের ছুটি পড়লে সব খুব হই হই করে মামা বাড়ি বেড়াতে যেতো।ওদের দুজনের ই ছোট ছোট দুটি ভাই অর্ঘ আর জয়, মামা বাড়িতে মামা আর মাসির মেয়েরা,রিনি, রাখি আর তমালি উফ দারুন একটা টিম, মজার টিম। তারা ওই ছুটির কদিন যা খুশি করতে পারতো, পুরো পুরী স্বাধীনতার স্বাদ। হ্যাঁ সত্যিই তাই কোনো বাঁধা নেই, নেই কোনো বারণ। একদম মামা বাড়ির আবদার। মামা, মামী দিদা দাদু সবার কাছে আদর । বিশেষ করে পুজোর সময় গুলোতে প্রচুর টাকা জমা হয়, যা খুশি কেনা, আর যা খুশি খাওয়া আর খুব আনন্দ করা। সব মিলে দারুন মজা, সব মিলে সম বয়সী প্রায় সাত আট জন এক সাথে হলে তারা কি না পারে…. যথারীতি এখানে ও তার ব্যাতিক্রম হলো না। বছরে দুবার স্বর্ণালীরা একদম অপেক্ষা করে থাকতো। একসঙ্গে ঘোরা, একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়া, এক

Women's Day

Image
নারী দিবস.... নারী দিবস একটি আন্তর্জাতিক উৎসব। হ্যাঁ তাই তো It's International Women's Day... Global Celebration. আমরা কি সত্যিই সন্মান করি এই দিনটিকে, নাকি শুধুমাত্র একটি লোক দেখানো মিথ্যা সহানুভূতি! নারী দিবসের উৎপত্তি কোথা থেকে ? সেই তো অপমান লাঞ্ছনা আর অবমাননার শুরু থেকে.. শুধু আমাদের দেশেই নয়, পৃথিবীর কোনো খানে কোনো কালেই নারী, পুরুষের সমান মর্যাদা পাই নি...... সেই থেকেই তো এই লড়াই শুরু, 1908 এর 8ই মার্চ আমেরিকার নিউইয়র্ক শহর প্রথম ডাক দিয়েছিল সকল নারী কে তার নিজের অধিকার বুঝে নিতে, জাতপাত ভুলে তারা পথে নেমেছিল সেদিন, নিজের নিজের অধিকার বুঝে নিতে, ছোটো ছোটো দাবি, ভোটার অধিকার, স্বাধীন ভাবে বাঁচার তাগিদ তাদের পথে এনেছিল, অধিকার এর জন্য লড়তে শিখিয়েছিল। নারী সেদিন ও লাঞ্ছিত অপমানিত, আজ একশো বছর পরেও তাই, ঘরে বাইরে প্রতি নিয়ত অত্যাচার এর স্বীকার। সে শুধু লড়ে চলেছে স্বাধীন ভাবে মাথা উঁচু করে সমাজে বাঁচার জন্য। তাই তো নারীর শিক্ষা আজ অনিবার্য হয়ে উঠেছে, আজ আমাদের দেশে বা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে নারী অত্যাচার ও খুনের শিকার। কেন জানো, কারন পুরুষ শাসিত সমাজ আজ ও